সাগরদিঘি উপনির্বাচন জিততে বদ্ধপরিকর ছিল কংগ্রেস
২০২১-এর নির্বাচনে শূন্যে নেমে গিয়েছিল কংগ্রেস। খাতাই খুলতে পারেনি তারা। এমনকী মুর্শিদাবাদের মাটিতেও কংগ্রেস জয় হাসিল করতে পারেনি। বিধানসভা এই প্রথম কংগ্রেস ও সিপিএম শূন্যে নেমে আসে এবার। এই অবস্থায় সাগরদিঘি উপনির্বাচন জিততে বদ্ধপরিকর হয়ে ময়দানে নামেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

সংখ্যালঘু কেন্দ্রে কংগ্রেসের জয় ধাক্কা তৃণমূলে
নিজের চেনা ক্ষেত্রে অধীর চৌধুরী ভোট ময়দানে নেমেই জয়ের রাস্তা খুঁজতে শুরু করেন। তবে তৃণমূল এই কেন্দ্রে জয় পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল। কারণ পর পর তিন নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। আর দ্বিতীয় কথা এই কেন্দ্রের ৬৮ শতাংশ ভোটার সংখ্যালঘু।

সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক ছিনিয়ে নিচ্ছে বাম-কংগ্রেস
কিন্তু সংখ্যালঘু ভোট যে এবার তৃণমূলকে সঙ্গ না দিয়ে কংগ্রেসের পক্ষে আসবে তা ভাবতে পারেনি মমতা ব্রিগেড। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্রে বরাবরের মতো হিন্দু প্রার্থী দিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস অঙ্ক কষেই প্রার্থী দিয়েছিল সাগরদিঘিতে। তার সুফল পেয়েছে তারা। তৃণমূলের কাছ থেকে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক ছিনিয়ে নিতে সম্ভবপর হয়েছে কংগ্রেস।

তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে কি ধস নামছে
সংখ্যালঘু ভোট সাগরদিঘিতে যেভাবে কংগ্রেসের দিকে ঘুরে এল, তা তৃণমূলের পক্ষে বুমেরাং হতে পারে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক বা আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচন তৃণমূলকে বেগ দিকে পারে কংগ্রেস ও বামেরা। এই নির্বাচনের পরে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে কি ধস নামতে চলেছে এবার।

১১ থেকে ২১ তৃণমূলের দাপট ছিল সাগরদিঘিতে
তা না হলে ৫০ হাজার ভোটে জেতা আসনে এবার প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারতে হবে কেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। ৬৮ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট যেখানে, সেখানে গত নির্বাচনে তৃণমূলের দখলেই ছিল মোট ভোটের ৫১ শতাংশ। আর বিরোধী বিজেপি ২৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছিল। কংগ্রেস মাত্র ১৯ শতাংশ পেয়েছিল।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস দিশা পেতে পারে
২০২৩-এর উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী সেখানে ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়ে বাজিমাত করেছে। তৃণমূল মাত্র ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আর বিজেপির ভোট নেমে গিয়েছে ১৪ শতাংশে। কংগ্রেস তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে এই কেন্দ্রে। এই জয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসকে দিশা দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।