গোপালের চিটফান্ডে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা যায়নি তো? জানতে তদন্তে নামল CBI

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত গোপাল দলপতির চিটফান্ড কারবারের খোঁজখবর শুরু করল সিবিআই। এই দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তার পর বেশ কিছুদিন তিহাড় জেলে বন্দিও ছিলেন তিনি। এই দুর্নীতিতে জড়িয়েই গোপালের যাবতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে যায়। নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে নাম বদলে আরমান গঙ্গোপাধ্যায় হন তিনি।

সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১২ সালে জি নেট নামে এই চিটফান্ড চালু করেন গোপাল। ততদিনে হৈমন্তীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তবে তখন নিজেকে বিকাশ দলপতি বলে পরিচয় দিতেন তিনি। ৪ বছরের আমানতে ১৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে বলে প্রকল্প শুরু করেন তিনি। সেজন্য জেলায় জেলায় প্রচুর এজেন্ট নিয়োগ করেন। কিন্তু প্রথমে তিনি তেমন সাড়া পাননি।

এর পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় জমি কিনতে শুরু করেন গোপাল। বলেন, দরকারে জমি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এমনকী সেই জমিতে শিল্পে প্রকল্প গড়ে তোলার আশ্বাস দিতে থাকেন তিনি। সেই প্রকল্পে আমানতকারীদের পরিবারের সদস্যরা চাকরি পেতে পারেন বলেও স্বপ্ন দেখান তিনি।

গোপালের চিট ফান্ড মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলি জেলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। লোকে লক্ষ লক্ষ টাকা আমানত করতে শুরু করে জি নেট চিটফান্ডে। কিন্তু সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন সুদ তো পরের কথা আমানতকারীরা আসল টাকাই ফেরত পাননি। সিবিআইয়ের অনুমান, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা গোপালের চিটফান্ডে গিয়ে থাকতে পারে। এব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান গোয়েন্দারা। তাই গোপাল দিল্লি থেকে ফিরে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দেন কি না সেদিকে নজর সবার।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।