জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল গৌরী এল। এই ধারাবাহিকটি দেখতে দেখতে এক বছর পার করে ফেলল। আজকাল যেখানে ৩-৪ মাসেই সিরিয়ালগুলোতে ইতি পড়ছে সেখানে দাঁড়িয়ে এই সিরিয়াল ১ বছর পার করে ফেলল মানে বিশাল বড় ব্যাপার!
এই ধারাবাহিকে গৌরীর চরিত্রে দেখা যাচ্ছে মোহনা মাইতিকে। তিনি ড্যান্স বাংলা ড্যান্স থেকে এখানে সুযোগ পান। তিনি বাস্তবে যেমন প্রাণোচ্ছ্বল তেমনই তাঁকে পর্দাতেও দেখা যায়। শ্যুটিংয়ের বাইরে তাঁর খুনসুটি মজায় মেতে থাকেন সকলেই। কিন্তু তাঁর সঙ্গে এই ধারাবাহিকের সকলের সম্পর্ক কেমন? এই প্রশ্নের উত্তরে মোহনা আনন্দ প্লাসকে জানান, ‘ছোট ঠাম্মি অর্থাৎ মৌসুমী সাহা আমায় নিজের নাতনির মতোই ভালোবাসেন। যা খাবার আনেন আমায় দিয়ে খান সবসময়। তাঁর থেকে অভিনয়ের টিপস পাই। আবার তেমনই সুজাতা দিকে পাশবালিশ করে ঘুমাই। ইশান ওরফে বিশ্বরূপের সঙ্গে খুনসুটি লেগেই থাকে।’
তিনি এই বিষয়ে আরও বলেন, ‘ও সবসময় আমার লেগপুল করে। আমিও তাই বলে ছেড়ে কথা বলি না।’ গৌরীর এই উত্তর শুনে অভিনেত্রী সুজাতা দাঁ বলেন, ‘পর্দায় যাই করি না কেন, গৌরী আমাকে পর্দার বাইরে শাসন করে। কথায় কথায় সুজি এটা করো না, ওটা করো না করতেই থাকে।’
অন্যদিকে এই ধারাবাহিকের অন্যতম অভিনেতা ভাস্বর এই ধারাবাহিকে কাজ করার বিষয়ে বলেন, ‘আমি আর শ্রীতমা রোজ রিলস বানাই। আর তাই রোজ সন্ধ্যা ৬টা বা পৌনে ছয়টা বাজলেই মন্টু দা আর বোধি দা জিজ্ঞেস করে আজকে পোস্ট হল না কেন?’
অর্থাৎ বকাঝকা থেকে খাবার শেয়ার, রিলস বানানো সবই হয়ে থাকে এখানে কাজের পাশাপাশি। কিন্তু নায়ক কী বলছেন এই ধারাবাহিক নিয়ে? বিশ্বরূপ জানান, ‘গৌরী এল-র সেটের চার নম্বর মেকআপ রুম হল গৌরী এল স্পা, গৌরী এল খাই খাই ক্লাব, গৌরী এল ক্লাব ঘর। এখানে অবসরে কী খেলা হয় না চাইনিজ চেকার থেকে লুডো সব চলে। ক্লান্ত হয়ে এলে এখানে আমরা একে অন্যকে ম্যাসাজ করে দিই। আমি আর চান্দ্রেয়ী দি ফুট ম্যাসাজ দিতে এক্সপার্ট। সঙ্গে চলে খাওয়া দাওয়া।’ শুধুই কি তাই জানা গেল এই ধারাবাহিকে যে প্রধান আটটি মহিলা চরিত্র আছে তাঁরা সকলেই একটি মেকআপ ঘর ভাগ করে নেন! তাহলে বুঝুন তাঁদের মধ্যে কতর ভাব। আর এই এক বছরে এই বন্ডিং যে আরও মজবুত হয়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।