Chinese Foreign Minister to meet Jaishankar: জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন জয়শংকর, চিনের নয়া বিদেশমন্ত্রী

Advertisement

বারবার মুখে শান্তির কথা বললেও আদতে সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করে রেখেছে চিন। বিগত সাড়ে তিন বছর ধরে লাদাখ ও অরুণাচলে সীমান্তে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থেখেছে ভারত ও চিনা সেনা। এরই মাঝে অবশ্য ভারত ও চিনা সেনার আলোচনা জারি থেকেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এই আবহে এবার জি২০ সম্মেলন উপলক্ষে ভারতে আসতে চলেছেন চিনের নয়া বিদেশমন্ত্রী কিন গাং। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে নিশ্চিত ভাবে জানানো হয়েছে, জি২০ উপলক্ষে এদেশে সফরকালে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করবেন চিনা বিদেশমন্ত্রী কিন গাং। (আরও পড়ুন: চিন সীমান্ত ঘেঁষে তৈরি হবে দেশের সর্ববৃহৎ বাঁধ, অনুমোদন দিল কেন্দ্র, জানুন বিশদ)

মনে করা হচ্ছে, দ্বিপীক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে সীমান্তের স্থিতিশীলতা, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংক্রান্ত বিবাদের মতো বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। সীমান্ত বিবাদ নিয়ে কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে যে আলোচনা এতদিন ধরে হয়েছে, সেটাকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এর আগে মঙ্গলবার চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, ভারতের বিদেশমন্ত্রীর তরফে আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গাং ২ মার্চ নয়াদিল্লিতে যাবেন জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে।

চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসাবে এখানে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা দরকার। এদিকে ইতিমধ্যেই জি২০ বৈঠকগুলিতে ছায়া পড়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের। এৎ আগে ২০টি দেশের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি পেশ করা সম্ভব হয়নি। এই আবহে চিনা বিদেশমন্ত্রী জি২০-র মঞ্চে কী বার্তা দেন, সেদিকে নজর রয়েছে সবার। প্রসঙ্গত, চিনের নয়া বিদেশমন্ত্রী কিন গাংয়ের সঙ্গে এটাই প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে চলেছে জয়শংকরের। এর আগে তিনি আমেরিকায় নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তারও আগে ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত শি জিনপিংয়ের প্রটোকল অফিসারও ছিলেন কিন গাং। মুখে তিনি শান্তির বার্তাই দিয়ে এসেছেন। তবে চিনা সেনা সেই পথে হাঁটেনি।

গত ৯ ডিসেম্বর চিনের ৩০০ সৈন্য অরুণাচলে তাওয়াঙের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে এসেছিল। এদিকে গত ২০ ডিসেম্বরই লাদাখের চুশুলে দুই দেশের সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। ভারত ও চিনের এই বৈঠকগুলির ফলে কোথাও কোথাও শান্তি ফিরেছে, তবে সার্বিক ভাবে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে এখনও সামগ্রিক সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। এরই মাঝে কয়েক মাস আগে জানা গিয়েছিল, প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন ফিঙ্গার ৮-এর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে একটি বড় সেতু বানাচ্ছে চিন। অপরদিকে অরুণাচলেও আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছে চিন। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হবে।

 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।