একনজরে পুরো ঘটনা!
২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থী শাহিলার মামলা করেন। মামলাকারী শাহিলা ২০১৭ সালে পরীক্ষা দিলেও ফলাফল তিনি জানতে পারেননি। পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছেন তথ্য জানার অধিকার আইনে তা জানতে চান শাহিলা। নিজের ওএমআর শিটটিও দেখতে চান তিনি। মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শাহিলাকে আসল ওএমআর শিট দেখানো হয়নি। এ ক্ষেত্রেও কারচুপি করা হয়েছে। যার ফলে চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মামলাকারী। এই মাসের শুনানির পর মানিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে এক মাসের মধ্যে
কিন্তু সেই টাকা সঠিক সময়ে দেননি মানিক ভট্টাচার্য। এরপর আরও দু’লাখ টাকা জরিমানা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি এক টাকাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেননি। তারপরই মানিক ভট্টাচার্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। দেশে ও দেশের বাইরে মানিক ভট্টাচার্যের যেখানে যেখানে সম্পত্তি রয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করতে হবে। স্থাবর অস্থাবর যত সম্পত্তি রয়েছে তা ইডিকে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে এক মাসের মধ্যে । নির্দেশে এমনটাও জানান বিচারপতি।

হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি
আর এরপরেই আজ বুধবার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় আদালতে মানিক স্বস্তি পান কিনা সেটাই এখন দেখার। এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গত কয়েকমাস আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এমনকি তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেকেও ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা।