পরিস্থিতি একেবারেই নির্বাচনের উপযোগী নয়
অধীর চৌধুরী বলেন, গোটা রা্জ্যজুড়ে সন্ত্রাস চলছে। গুলি, বোমা, বন্দুক উদ্ধার হচ্ছে। এই পরিস্থিতি একেবারেই নির্বাচনের উপযোগী নয়। এই অবস্থায় নির্বাচনের আগে বিচারকের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়ে অধীর বলেন, আমরা আগেরবারের মতো আর্জি জানাব। জানাব যে, এই আবহে ভোট হওয়া সম্ভব নয়।

মুখ্যমন্ত্রীকে কথা দিতে হবে নির্বাচনে রক্ত ঝরবে না
অধীরের কথায়, আমরা গতবার তৃণমূল সরকারের উপর ভরসা রেখেছিলাম। কিন্তু, রক্তাক্ত ভোটের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। আবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলছে। এই বাংলায় আর কত রক্ত ঝরবে। মুখ্যমন্ত্রীকে কথা দিতে হবে নির্বাচনে রক্ত ঝরবে না। নির্বিঘ্নে ভোট হবে। নাহলে আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইব।

পরিস্থিতি বদলানো দরকার, তাই কেন্দ্রীয় বহিনী দাবি
তিনি বলেন, বাংলার মানুষকে ধরেই নিয়েছে বাংলায় ভোট মানেই রক্ত ঝরবে। সেই পরিস্থিতি বদলানো দরকার। তাই আমরা বিচারকের কাছে গিয়ে দরবার করে বলব, কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই। আমরা জানি নির্বাচন কমিশন না চাইলে এটা হয় না। তারপরও আমরা যাব। আমাদের দাবি জানাব।

অবান্তর দাবি করে কংগ্রেস নিজেদের হাস্যাস্পদ করে তুলছে
আর অধীরের এই কথা টেনেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, মাসির যদি গোঁফ থাকত মেসো বলে ডাকতাম। এর বাইরে বলতে পারি, যখন পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার হবে। নিয়ম মেনেই সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হবে। সেখানে অবান্তর দাবি করে কংগ্রেস নিজেদের হাস্যাস্পদ করে তুলছে।

সাগরদিঘির ভোট ঘোষণার পর থেকেই অঙ্ক কষছেন অধীর
কুণালের কথায়, কংগ্রেস তো এ রাজ্যে শূন্য। এই অধীর চৌধুরী সাগরদিঘির ভোট ঘোষণার পর থেকেই জোটের অঙ্ক কষছেন। নীতি বিসর্জন দিয়ে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট, এমনকী বিজেপির সঙ্গে পর্যন্ত জোট করে তৃণমূলকে হারাতে চাইছেন। কিন্তু মনে রাখবেন, কংগ্রেস এ রাজ্যে শূন্য হয়ে গিয়েছে। আর পঞ্চায়েতে বিজেপির কাছে প্রার্থী নেই। সিপিএম আবার বেশি ফুলে উঠছে। ফলে গ্যাস বেলুন ফেটে যাবে।

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করার দাবি প্রসঙ্গে
আর এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করার দাবি তুলছে বিধানসভায় শূন্য পাওয়া একটা পার্টি। এখন প্রার্থী নেই বলেই জোট করে হাতে হাত মেলাচ্ছে। দলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। অধীরবাবু তো সামান্য এআইসিসি লিস্ট নিয়ে দলের কলহ মেটাতে পারছেন না। এখন আবার তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ভাবছেন। কুণালের কটাক্ষ, এই ভোট না হলে সিপিএম বিজেপি আর কংগ্রেস নেতৃত্বের মুখ বাঁচে।