যোগী গেরুয়া পরতে পারেন আর মুসলিমরা হিজাব পরলেই আপত্তি? সংসদে খোঁচা CPM MP’র

Advertisement

হিজাব নিয়ে ফের আলোচনা হচ্ছে সংসদে। তার মধ্যেই সিপিএমের এক সংসদ প্রশ্ন তোলেন, মুসলিম মহিলাদের কেন হিজাব পরার ক্ষেত্রে আপত্তি তোলা হচ্ছে? এনিয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিশানা করেন সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস।

তিনি বলেন, কর্নাটক সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য তারা স্কুল কলেজে হিজাব পরতে দেবেন না। কিন্তু ভারতের মতো একটি দেশে কেন আপত্তি ওঠে না যখন যোগী আদিত্য়নাথ সবসময় গেরুয়া পরে থাকেন।

সিপিএম এমপির দাবি, এই যে মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরা নিয়ে বিজেপি সরকারের এত আপত্তি।এতে আখেরে মুসলিম নারীদেরই ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। কর্নাটকে এক লাখ মুসলিম পড়ুয়া স্কুল কলেজ থেকে ড্রপ আউট হয়ে গিয়েছে। সাচার কমিটির রিপোর্টকে বাস্তবে প্রয়োগ করার দাবিও তিনি তুলেছেন।

হিজাব নিয়ে বিতর্ক এখনও থামেনি

গত বছর কর্নাটকের সরকারি কলেজে হিজাব পরা নিয়ে আপত্তিকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড হয়েছিল। সরকারি আপত্তি সত্ত্বেও সেই সময় মুসলিম ছাত্রীদের জোর করে হিজাব পরে স্কুল কলেজে আসতে দেখা যায়। সংখ্যালঘুরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করেন।

বিভিন্ন মহল থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য উদ্য়োগ নেওয়া হয়। কিন্তু হিংসা যেন ক্রমেই বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে গোটা বিষয়টি শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায়। সংসদ উত্তাল হয় হিজাব ইস্যুতে।

তবে এবার ফের সামনে আসছে হিজাব ইস্যু। সংসদে হিজাব প্রসঙ্গে এবার যোগী আদিত্যনাথের গেরুয়া বসন নিয়েও খোঁচা দিলেন সিপিএম সাংসদ। তবে এবার এর জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।

এদিকে স্কুল কলেজে হিজাব পরা নিয়ে বিগত দিনে গোটা দেশ জুড়েই শোরগোল পড়েছিল। আয়শত শিফা নামে এক ছাত্রী কর্ণাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধকরণের নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রথম আওয়াজ তুলেছিলেন। তিনিই বিগতদিনে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তুলেছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ প্রশাসন কীভাবে টিপ, চুড়ি, ক্রশ পরতে দেন অথচ মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে চান?

ওই ছাত্রীর পক্ষের আইনজীবী দেবদত্ত কামাত আমেরিকা, কানাডা, সাউথ আফ্রিকার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের আগে রায়ের কথা উল্লেখ করে জানিয়েছিলেন মুসলিম ছাত্রীদের ধর্মবিশ্বাস অনুসারে কোন পোশাক পরবেন তা পছন্দ করার অধিকার রয়েছে।

তবে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ সেই সময় জানিয়েছিলেন, অযৌক্তিক দিকে তর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবেন না। ক্রশ, রুদ্রাক্ষ পরা প্রসঙ্গে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছিল, এগুলি ইউনিফর্মের উপর কেউ পরেন না। এগুলি ঢাকাই থাকে। কেউ বলেননি যে ইউনিফর্ম খুলে দেখাতে হবে কী ধরনের ধর্মীয় প্রতীক তারা পরেছেন।

 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।