SC on Foreign Medical Graduates: ‘আর দেরি নয়’, মাঝ কোর্সে বিদেশ ফেরত মেডিক্যাল পড়ুয়াদের নিয়ে বড় নির্দেশ SC-র

Advertisement

কোভিডের জেরে চিনে মেডিক্যাল পড়তে যাওয়া বহু পড়ুয়ার জীবন এখন অন্ধকার। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় মেডিক্যাল পড়ুয়ারও ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা। এই আবহে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কোর্স শেষ না করেই বিদেশ থেকে ভারতে ফিরে আসা মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। সেই কমিটিকে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। (আরও পড়ুন: বিবিসির তথ্যচিত্রের সমালোচনার পর দিনই কংগ্রেস ছাড়লেন একে অ্যান্টনির ছেলে)

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট এর আগে চিন ফেরত ২০১৫-২০ ব্যাচের মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ভারতে ট্রেনিং সম্পন্ন করে লাইসেন্স পাওয়ার অনুমোদন দিয়েছিল। পাশাপাশি অন্য দেশ থেকে ভারতে ফিরে আসা ফাইনাল ইয়ারের মেডিক্যাল পড়ুয়াদের কথা কেন্দ্রকে ভেবে দেখতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। তবে অন্যান্য ইয়ারের মেডিক্যাল পড়ুয়ারাও তাঁদের পড়তে দেওয়ার সুযোগের দাবি জানাচ্ছেন। তবে এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ, ‘আমরা এভাবে সবাইকে ভরতি নিতে বলতে পারি না। আমাদের এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই। কেন্দ্রের তরফে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা নির্দেশ দেব। তারা যদি কোনও কাটঅফ তারিখের উল্লেখ করে, তাহলে সেটাই মেনে নেব আমরা। অন্যান্য (বিদেশ ফেরত) পড়ুয়াদের দেশে পড়ার সুযোগ দেওয়া হবে কি না, তার সিদ্ধান্ত একমাত্র সরকারের গঠিত কমিটি নিতে পারে।’

উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, দেশে ডাক্তারি করার লাইসেন্স পেতে হলে ইন্টার্নশিপ করা অত্যাবশ্যক। এদিকে অনেক পড়ুয়া চিন থেকে দেশে ফিরে বেশ কয়েকটি সেমিস্টার অনলাইনে পড়াশোনা করেছেন। এই আবহে জটিলতার মধ্যে পড়েন সেই পডুয়ারা। এই আবহে গত ৯ ডিসেম্বর, সরকারকে একটি কমিটি গঠন করে এইসব পড়ুয়াদের নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে বলা হয়। উল্লেখ্য, কোভিড অতিমারির শুরু থেকেই বাইরের জগতের থেকে নিজেদের ছিন্ন করে দিয়েছিল চিন। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত সেদেশে লকডাউন চলছে। এই আবহে চিনা মেডিক্যাল কলেজে ভরতি হওয়া ভারতীয় পড়ুয়ারা সেদেশে ফিরতে পারেনি। এই আবহে তাদের অনলাইনে পড়াশোনা শেষ করতে হয়েছে। তবে ভারত সরকার জানিয়ে দিয়েছিল যে অনলাইনে মেডিক্যাল পড়াশোনার কোনও দাম নেই দেশে। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েন চিন ফেরত পড়ুয়ারা। এই আবহে এর আগে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম বেঞ্চ ২০১৫-২০ ব্যাচের চিন ফেরত মেডিক্যাল পড়ুয়াদের দেশেই ট্রেনিং করার অনুমতি দেয়।

এদিকে ২০২১ ব্যাচের পড়ুয়ারা প্রায় দেড় বছর অনলাইনে পড়াশোনা করেছেন। এই আবহে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তাঁরা ফরেন গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এক্সামিনেশনে বসার যোগ্য নন। তাহলে তারা প্র্যাক্টিসের লাইসেন্সও পাবেন না। এই নিয়ে বিচারপতি গভাই বলেন, ‘এই সমস্যাটিকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা উচিত’। এরপর চিন ফেরত অনলাইনে পড়াশোনা শেষ করা ডাক্তারি পড়ুয়াদের নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়। এর জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই আবহে কমিটির তরফে নিজেদের জবাব স্থির করতে আরও ছয় সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।