সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার পা ছড়িয়ে খাটে শুয়ে রয়েছেন। একজন মহিলা তাঁর পা টিপে দিচ্ছেন। সেই মহিলা আর কেউ নন তৃণমূলেরই এক নেত্রী। ওই তৃণমূল নেত্রী হলেন, দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা বর্তমান চুঁচুড়া-মগরা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রুমা রায় পাল।

কীভাবে এল ছবি
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দিদির দূত কর্মসূচি শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। কর্মসূচিতেই রয়েছে, দলীয় নেতৃত্বরা মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন অভাব অভিযোগ শুনবেন। সরকারি প্রকল্পের সুবিধাগুলি তুলে ধরবেন। পাশাপাশি স্থানীয় কোনও নেতা কিংবা সমর্থকের বাড়িতে তাঁরা থাকবেন।
সেই মতো, দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন বিধায়ক। দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য পীযুষকান্তি ধরের বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন বিধায়ক এবং অন্যরা। সেখানে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রুমা রায় পালও।

তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের ব্যাখ্যা
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রুমা রায় পাল ছবির ব্যাখ্যায় বলেছেন, বিধায়ক অমিত মজুমদার তার বাবার মতো। তিনি তাঁকে গুরু বলেও মানেন। শুধুমাত্র পায়ের কষ্ট হচ্ছিল বলে পা টিপে দিচ্ছিলেন। বিরোধীদের কোনও কাজ না থাকায় মহিলাকে কালিমালিপ্ত করছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
রুমা রায় পাল আরও বলেছেন, ফেসবুকে তিনি যা লিখেছেন তা ভাইরাল হল না। শুধু পোস্ট করা ছবিটাই ভাইরাল হল। তিনি নিজে আজ যে জায়গায় রয়েছেন, তার কৃতিত্ব অমিত মজুমদারেরই। এরকম সেবা তিনি পরেও করবেন বলে জানিয়েছেন।

তৃণমূল বিধায়কের ব্যাখ্যা
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, কিছু দিন আগে তাঁর বড় অপারেশন হয়েছে। তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ নই। তার মধ্যে দলের নির্দেশ মতো কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। সেদিন কর্মসূচি অনুযায়ী পীযূষ ধরের বাড়িতে ছিলেন। সেখানে রুমা তাঁর দাদাকে সুশ্রুষা করেছে। তিনি বলেন, চুঁচুড়ার মানুষ জানে তিনি কেমন।

বিজেপি নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া
অন্যদিকে বিজেপির হুগলি জেলা সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, পলিসি খুব পরিষ্কার। গিভ অ্যান্ড টেক। সুতরাং আজকে কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হবে। এই পলিসিতে চুঁচুড়ার বিধায়ক বিশ্বাসী। এই যে ছবি ভাইরাল হয়েছে, এর আগেও এরকম বহু ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাঁর যে সব অনুরাগী রয়েছে, তাঁদেরকে তিনি দাসী বানিয়ে রেখেছেন। বিনিময়ে কাউকে পঞ্চায়েতের টিকিট, কাউকে পঞ্চায়েত প্রধান বানিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রেখেছেন। এগুলো খুবই লজ্জাজনক বিষয়। তিনি (বিজেপি নেতা) মনে করেন, উনি একজন বিধায়ক। এত মানুষ ভোট দিয়ে ওনাকে জিতিয়েছেন, এই সব থেকে তিনি দূরে থাকতে পারেন। এটাই সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক মহল আশা করে।