উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী ৫ দিনে আবহাওয়ার পরিবর্তনের তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে এদিন বিকেলে দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী ৪৮ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। তবে কোথাও বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।

দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
আগামী তিনদিন দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। যেমন ঠান্ডা কম রয়েছে, তেমনই থাকবে, বরং এক ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার ক্ষেত্রেই একই কথা প্রযোজ্য বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। ২৯ জানুয়ারি নাগাদ তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি কমতে পারে, সাময়িকভাবে দুদিনের জন্য। ৩১ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা ফের বাড়বে। ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা বেশ কিছুটা নামতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আগামী ৪৮ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। সেই কারণে প্রচুর জলীয় বাষ্প স্থলভাগে প্রবেশ করছে।

কেমন থাকবে ২৬ জানুয়ারির আবহাওয়া
২৬ জানুয়ারির সঙ্গে রয়েছে সরস্বতী পুজো। কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কলকাতায় ঠান্ডা থাকবেই না। পাশাপাশি সকাল ও ভোরের দিকে ঠান্ডা কম থাকবে। অন্যদিকে কলকাতা ন্যূনতম তাপমাত্রা ১৯-এর কাছাকাছি থাকবে। তাপমাত্রা এর নিচে নামার সম্ভাবনা নেই। প্রসঙ্গত বুধবার কলকাতার ন্যূনতম তাপমাত্রা রয়চেছে স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় ঠান্ডা কম থাকবে।

পশ্চিমী ঝঞ্ঝায় বাধা
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে উত্তর পাকিস্তান ও সংলগ্ন আফগানিস্তানের ওপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। এছাড়াও একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে পঞ্জাব এবং সংলগ্ন এলাকার ওপরে। সঙ্গে একটি অক্ষরেখা পঞ্জাব থেকে হরিয়ানা, পূর্ব রাজস্থানের ওপর দিয়ে বিদর্ভ পর্যন্ত গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম হিমালয়ে ভারী বৃষ্টিপাত কিংবা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন করে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে আঘাত হানতে চলেছে ২৮ জানুয়ারি নাগাদ। এর ফলে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টির সঙ্গে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা( ডিগ্রি সেলসিয়াস)
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল ৩১ (২৯.৫)
বহরমপুর ২৭.৬ (২৭.৬)
বাঁকুড়া ৩০.৮ (২৮.৯)
বর্ধমান
কোচবিহার ২৭.১ (২৫.৭)
দার্জিলিং ১২ (১২)
কালিম্পং ১৯ (১৭.৫)
দিঘা ২৮.৮ (২৭.৭)
কলকাতা ২৯.২ (২৮.৯)
দমদম ৩০.২ (২৮.৭)
কৃষ্ণনগর ২৯.৮
মালদহ ২৫.৮ (২৫.৭)
মেদিনীপুর ৩০.৫ (২৮.৭)
শিলিগুড়ি ২৭.৫ (২৭.৫)
শ্রীনিকেতন ২৮.৮ (২৮)
সুন্দরবন ২৬.৫ (২৬.৫)