আজই ওঁকে শোকজ করুন…।
এদিন দলের সাংসদ ‘দিদির দূত’ মালা রায়ের নেতৃত্বে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহমহাপাত্র সহ অন্যান্যরা গঙ্গাজলঘাটি দক্ষিণ চক্রের জেনাডিহী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান।আর সেখানেই মালা রায়-প্রধান শিক্ষকের দীর্ঘ কথোপকথন চলে। আর তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ওই কথোপকথনের মাঝেই প্রধান শিক্ষক সাক্ষী গোপাল মণ্ডল মালা রায়ের কাছে বকেয়া ডি.এ নিয়ে জানতে চান। সেই মুহূর্তে মালা রায় তাঁর মতো করে উত্তর দিলেও পরে উল্টো সূর শোনা যায় তাঁর মুখেও। গাড়িতে বসে ‘মিড ডে মিল চুরি, ইন্সপেকশান দরকার’ এসব কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। এমনকি মালা রায়ের সফর সঙ্গী গঙ্গাজলঘাটি ব্লক-১ তৃণমূল সভাপতি নিমাই মাঝিকে ফোনে কাওকে উদ্দেশ্য করে বলতে শোনা যায় ‘আজই ওঁকে শোকজ করুন। না, না, ইমিডিয়েটলি শোকজ করুন-আমি যেন দেখতে পাই…’।

সর্বৈব মিথ্যা বলছেন
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক সাক্ষী গোপাল মণ্ডল বলেন, ‘দিদি মালা রায়ের কাছে আমি ডি.এ নিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলাম বলেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। মিড.ডে মিল নিয়ে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা সর্বৈব মিথ্যা বলেই তিনি দাবি করেন।

‘দিদির দূত’ সাংসদ মালা রায় বলছেন
অন্যদিকে ‘দিদির দূত’ সাংসদ মালা রায় বলেন, উনি (প্রধান শিক্ষক) ডি.এ নিয়ে যতোটা চিন্তিত স্কুলের বাচ্ছাদের নিয়ে উনি ততোটা চিন্তিত নন। ‘দিদির দূত হয়ে আমি এসেছি কোথায় স্কুলের কথা, স্কুলের ছেলে মেয়েদের কথা, পড়াশুনার কথা না বলে আগেই তিনি ডি.এ-র কথা তুললেন! একই সঙ্গে সরকারী সমস্ত ব্যবস্থা থাকা সত্বেও ‘মিড.ডে মিলে নজরদারি নেই, তা কোথায় চলে যাচ্ছে’ বলেও তিনি প্রশ্ন তোলেন। স্থানীয় নেতৃত্ব যেমন বিশেষ ‘নজরদারি’ দেবে তেমনি তিনিও এই স্কুল নিয়ে ‘রিপোর্ট জমা দেবেন’ বলেও জানান।

সরকার অর্থনীতিতে দিউলিয়া হয়ে গিয়েছে
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, উনি তো শ্রমিক নেত্রী। ওনাদের এমন হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু শিক্ষক জানতে চেয়েছেন তাঁকে এমন ভাবে হুমকি! উনি তো কারখানার শ্রমিক নন তো! এমনকি কারখানার শ্রমিককেও কেউ হুমকি দিতে পারে না বলে দাবি কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার অর্থনীতিতে দিউলিয়া হয়ে গিয়েছে। আর তা শিক্ষককে তো জানাতেই পারতেন…। আর সেই কারণেই যে তাঁরা ডিএ দিতে পারছেন না সেটা পরিষ্কার ভাবে জানানোর সাহস নেই বলেও কটাক্ষ সুভাষ সরকারের। তবে মানুষ এদের চালাকি ধরে ফেলেছে বলে দাবি তাঁর।