Supreme Court on TV Channels: TRP-র লড়াইয়ে বিভাজিত হচ্ছে দেশ, টিভি চ্যানেলগুলির দিকে আঙুল সুপ্রিম কোর্টের

Advertisement

বিদ্বেষ ছড়ানো ঘৃণা ভাষণ (Hate Speech) দেশের জন্য ভয়ানক বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। এদিকে টিভি চ্যানেলে প্রদর্শিত বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি সর্বোচ্চ আদালত বলে, ভারত মুক্ত ও ভারসাম্যপূর্ণ সংবাদমাধ্যম চায়। শীর্ষ আদালত বলে, আজকাল সবই টিআপি-র ভিত্তিতে চালিত হয়। সব টিভি চ্যানেল একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। এতে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি হচ্ছে। এই আবহে টিভি চ্যানেলগুলির ভূমিকার নিন্দা করে সর্বোচ্চ আদালত। (আরও পড়ুন: ডিজেলের দাম বাড়িয়ে ফেরানো হল পুরনো পেনশন স্কিম, ঘোষণা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর)

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, বাণিজ্যিক স্বার্থে দর্শক টানতেই টিভি চ্যানেলগুলি ঘৃণা ভাষণ নিয়ে ‘নিন্দনীয়’ ভূমিকা পালন করছে। আদালতের প্রশ্ন, যদি ঘৃণা ভাষণ প্রচারের অভিযোগ ওঠে, তাহলে সংবাদ চ্যানেলের সঞ্চালককে কেন অফ এয়ার নেওয়া যাবে না? বিতারপতি বিভি নাগরত্না এবং বিচারপতি কেএম জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চ এয়ার ইন্ডিয়ায় প্রস্রাব কাণ্ডেও মিডিয়ার ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘অভিযুক্তকে নিয়ে অনেক কিছু সম্প্রচার করা হয়েছে। তাঁকে বিভিন্ন নামে ডাকা হচ্ছে। মিডিয়াকে এটা বুঝতে হবে যে তাঁর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া এখনও চলছে।’

সর্বোচ্চ আদালত বলে, ‘টিভি চ্যানেলগুলি সবকিছুকেই চাঞ্চল্যকর ভাবে তুলে ধরে। টিভির এই ভিজ্যুয়ালের কারণে সমাজে বিভাজন তৈরি হয়। সংবাদপত্রের বিপরীত মেরুতে থেকে কাজ করে টিভি। ভিজ্যুয়াল মাধ্যম আপনাকে অনেক বেশি প্রভাবিত করতে পারে এবং দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশের দর্শকরা এই ধরনের বিষয়বস্তু দেখার জন্য যথেষ্ট পরিপক্ক নয়।’ বিচারপতি কেএম জোসেফ এবং বিভি নাগরত্নার বেঞ্চ বলেছে, ‘নিউজ ব্রডকাস্টিং স্ট্যান্ডার্ড ইন্ডিয়া অথরিটি এবং ভারত সরকারকে দেখতে হবে কীভাবে এই ধরনের টিভি চ্যানেলকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।’

বিচারপতি জোসেফ সরাসরি বলেন, ‘চ্যানেলের পিছনে যাঁর টাকা আছে, নীতি সেই ঠিক করে দেয়। চ্যানেলগুলি মূলত একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আর এর কারণে অনুষ্ঠানগুলিকে উত্তেজনায় ভরিয়ে তুলছে তারা। সমস্যা হল এই ধরনের অনুষ্ঠানের পিছনে যে নীতি কাজ করে তা দর্শকরা বুঝতে পারছে না।’ এরপর বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘উপস্থাপকদের আপত্তিজনক ভূমিকা আটকাতে জরিমানার বিধান থাকলে তা আদায় করতে হবে। যা প্রচার হচ্ছে, তার দায় যে তাদের, তা বোঝাতে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার পাশাপাশি তাঁদের কর্তব্য সম্পর্কেও অবগত হতে হবে।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।