চিকিৎসকদের নিয়ে একটা অভাব রয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে একাধিক সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল তৈরি হয়েছে। এমনকি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এমনকি রাজ্যে পরিবর্তনের পর থেকে কতগুলি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়েছে সেই সংক্রান্ত একটি তথ্যও এদিন তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু চিকিৎসকদের নিয়ে একটা অভাব রয়েছে। আর তা নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা ক্ষোভ রয়েছে। আর তা বারবার জেলাস্তরে বৈঠকে গিয়ে ঠের পেয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এই অবস্থায় জুনিয়র ডাক্তারদেরই ভরসা বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রত্যন্ত এলাকাতে ক্যাম্প খোলা যায় তাহলে সেখানে মানুষও উপকৃত হবে
আজ সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকাতে পাঠানোর ক্ষেত্রে পরিকল্পনা তৈরির কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, যদি প্রত্যন্ত এলাকাতে ক্যাম্প খোলা যায় তাহলে সেখানে মানুষও উপকৃত হবে। এবং জুনিয়র ডাক্তারদের অভিজ্ঞতা বাড়বে বলেও মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যেমনি বলা তেমনই কাজ! জানা যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এই বিষয়ে কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। তবে প্রাথমিক ভাবে এসএসকেএমের জুনিয়র ডাক্তারা যাবেন প্রত্যন্ত এলাকাতে। পরে অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদেরও বিশেষ এই ক্যাম্পে পাঠানো হবে বলে জানা যাচ্ছে।

মানুষের সঙ্গে চিকিৎসকদের মেলবন্ধন আরও শক্ত হবে
তবে কতজন করে জুনিয়র ডাক্তারকে পাঠানো হবে এবং কোথায় যাবে সেগুলি আলোচনার ভিত্তিতে ঠিক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে চিকিৎসকদের মেলবন্ধন আরও শক্ত হবে। তবে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। ছেলে-মেয়েদের মানুষ করার পর সন্তানরা বিদেশে চলে যান! শেষ জীবনটা একাই কাঁটাতে হয়! তা মোটেই ভালো লাগে না বলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী। একেবারে তাঁর পরিবারের উদাহারণ টেনে তিনি বলেন, আমার এক আত্মীয় শিকাগোতে আছে। আমার মোটেই ভালো লাগে না। “বাবা-মা সন্তান মানুষ করতে জীবনের ২০-২৫ বছর ব্যয় করেন। কিন্তু শেষ জীবনে একা থাকতে হয়। দু’টাকা কম রোজগার হলে সমস্যা কোথায়? আর তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই বাংলার উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে আনেন প্রশাসনিক প্রধান।