১০০ দিনের কাজে টাকা মারছে কেন্দ্র
মুখ্যমন্ত্রী এদিন শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক। শুরুতেই তিনি বিজেপিকে নিশানা করেন। তিনি বলেন টাকা মারা চলবে না। তিনি অভিযোগ করেন, ১০০ দিনের কাজ করিয়ে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। রাজ্য সরকার ১০০ দিনের কাজে ছয় হাজার কোটি টাকা পায় বলেও দাবি করেন। কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তুই মা-বোন-শ্রমিকদের ভাতে মারছিস। লজ্জা করে না। এই ক্ষমতা আজ আছে কাল নেই। আর ক্ষমতা না থাকলে মানুষও পাশ থেকে সরে যায়, বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সতর্ক করে বলেন, কেউ যদি মনে করে এটা বিজেপির জমিদারি, তাহলে ভুল করছেন। বিরোধী দলগুলি যেখানে ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানেই ভাতে মারার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াইয়ের ডাক
মুখ্যমন্ত্রী এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ওবিসির মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা বেশি বলে, সরকারি সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পর্যবেক্ষণে কেন্দ্রের পাঠানো টিমকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জাকির হোসেনের বাড়ি অফিসে আয়কর দফতরের তল্লাশিতে টাকা উদ্ধার নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ২০ হাজার বিড়ি শ্রমিকের বেতনের টাকা রাখা ছিল। তিনি বলেন, বদলা তিনি চান না, তবে বদল তিনি করবেনই। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে সুবিধা না পেলে, তিনি তা সমবায় ব্যাঙ্ক দিয়েই করাবেন বলেও জানান। রাজ্যে সরকারি প্রকল্প চালু রাখতে টাকার জোগার করা হবেই, আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাম-বাম-শ্যাম এক হয়েছে
সাগরদিঘির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী একইসঙ্গে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। তিনি এই তিনদলের মধ্যে যোগাযোদের অভিযোগ করেছেন। বলেছেন, যেমন তারা মুর্শিদাবাদে করেছে, মালদহেও করেছে। কিন্তু তৃণমূল এই তিনদলের বিরুদ্ধে বাঘের বাচ্চার মতো লড়াই করেছে। মুর্শিদাবাদ তাঁকে বিধানসভা এবং লোকসভায় ভরে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।

বুলডোজারের পরিবর্তে ক্লোজার
মুখ্যমন্ত্রী এদিন দিল্লির বঙ্গভবন থেকে দলের সমাজকর্মী নেতাকে গ্রেফতারের তীব্র সমালোচনা করেন। সেখান থেকে দিল্লি ও গুজরাত পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, বঙ্গভবনে রাজ্যপাল থেকে সরকারি আধিকারিক, বিচারপতিরা গিয়ে থাকেন। তিনিও থাকেন। সেখানে কেন অন্য জায়গায় পুলিশ আসবে? সিসিটিভি খুলে নেওয়ার অধিকার কে দিল, প্রশ্ন করেন তিনি। এরপর বঙ্গভবনে পুলিশ ঢুকলে আইনি ব্যবস্থা নিতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, তিনি বুলডোজারের পক্ষে নন। বুলডোজারের পরিবর্তে ক্লোজার হয়ে যাবে, বলেছেন তিনি।