কিন্তু কীভাবে কাজ করবে নয়া এই সিস্টেম?
‘ভেহিকল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’ অর্থাৎ ভিএলটিডি’ একটি অত্যাধুনিক মাধ্যম। যেখানে দুটি সিমের ব্যবহার করা হবে। তবে একটি কাজ করলেও সহজে নয়া এই ডিভাইস কাজ করবে। ‘ভেহিকল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইসে’ সহজেই গাড়ির সমস্ত গতিবিধি ট্র্যাক করতে পারবে। এমনকি সমস্ত গাড়ির তথ্য পরিবহন দফতরের কাছে থাকবে বলেও খবর। কিন্তু জোড়া সিমের ব্যবহার কেন? জানা যাচ্ছে, হঠাত করে যদি একটি সিম কাজ না করে তাহলে অপর একটি কাজ শুরু করে দেবে। আর তা দিয়েই সহজেই গাড়ির অবস্থান ধরে ফেলা যাবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও এতে প্যানিক বোতাম থাকবে। তার মাধ্যমে পরিবহন দফতর ও কলকাতা পুলিশের সঙ্গে তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করা যাবে।

বেঁধে দেওয়া হয়েছে চূড়ান্ত সময়সীমা
ইতিমধ্যে একাধিক গাড়িতে এই ‘ভেহিকল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’ লাগানো হয়েছে। যদিও গত ডিসেম্বর মাস থেকেই এই বিষয়ে পরিবহণ দফতরের তরফে জানানো হয়। দ্রুত এই ডিভাইস লাগানোর কথাও জানানো হয়। ৩১ মার্চের মধ্যে বেসরকারি গাড়ির মালিকদের এই ডিভাইসটি নিজেদের গাড়িতে বসাতে হবে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে পরিবহণ দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সমস্ত যাত্রীবাহী গাড়ি এবং পন্যবাহী গাড়িতে নয়া এই ব্যবস্থা লাগানোর কথা বলা হয়েছে।

মোবাইল ফোনের থেকে আলাদা হবে সিমগুলি
তবে যে সিম ব্যবহার হবে এতে সেগুলি মোবাইল ফোনের থেকে আলাদা হবে। তাঁদের কাজেরও বেশ কিছু ফারাক আছে। ইতিমধ্যে ১২টি বেসরকারি সংস্থাকে এই কাজ করার বরাত দিয়েছে পরিবহণ দফতর। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিবহন দফতর ও পুলিশ মিলিয়ে মা বোনেদের নিরাপদ রাখার জন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছে। এই অ্যাপের মধ্য দিয়ে সব গাড়িকেই পুলিশ ও পরিবহন দফতর লক্ষ রাখবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, কোথাও কোনও মেয়েদের উপর কোনো অত্যাচার হচ্ছে কি না। কোনো কিছু গড়বড় হলেই প্যানিক বাটন টা বাজবে। পরিবহন দফতর ও পুলিশের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে কানেক্টেড থাকবে। বলেও জানিয়েছেন প্রশাসনিক প্রধান।