সিপিএমের ভোটে জয় শুভেন্দুর!
নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসে বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রচ্ছন্ন স্বীকারোক্তি ছিল, তিনি বামেদের ভোট ছাড়া নন্দীগ্রামে জিততে পারতেন না। বামেরা তাঁকে ভোট দিয়েছিলেন বলেই তিনি জিতেছেন। মমতা বন্যোদীপাধ্যায়তে কম্পার্টমেন্টাল সিএম বনিয়ে দিয়েছেন। এই যে বামেদের ছাড়া তিনি মমতাকে হারাতে পারতেন না বলে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।

তৃণমূলকে হারাতে বাম-বিজেপি একজোট
শুভেন্দু অধিকারী আগেও একাধিকবার বামেদের আহ্বান করেছেন। এবার বামেদের ভোটে তিনি জিতেছেন বলে মন্তব্য করে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের একবার বার্তা দিলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, তিনি বোঝাতে চাইছেন তৃণমূলকে হারাতে বাম-বিজেপি একজোট হওয়া দরকার। তবেই তৃণমূল হারবে।

বামেদের ভোট নিয়ে তৃণমূলকে হারিয়েছেন
তিনি নন্দীগ্রামে বামেদের ভোট নিয়ে তৃণমূলকে হারিয়েছেন। তাই অন্যান্য ক্ষেত্রেও যদি বাম ভোট বিজেপির সঙ্গে যোগ হয়, তাহলে তৃণমূল হারতে বাধ্য বলেই মনে করছেন তিনি। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে তিনি বামেদের প্রতি প্রচ্ছন্ন বার্তা দিয়েছেন। তাঁর গলায় সিপিএম তথা বামপন্থীদের প্রশংসাও সে কারণে বলে মনে করা হচ্ছে।

সব বামপন্থীরা খারাপ নয়, বার্তা শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারী সাফ জানিয়েছেন, সব বামপন্থীরা খারাপ নয়। বামের ভোটে জিতে বিজেপি, তারপর বাপন্থীদের প্রশংসা যে পঞ্চায়েত ভোটে তাঁদের ফের বার্তা দেওয়া, তা স্পষ্ট রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে। তিনি বলেন, তৃণমূলের থেকেও অনেক বড় অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল সিপিএমের সংগঠন। তাই তাঁরা টানা ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকতে পেরেছিল।

বাম-বিজেপি এক জোট হয়ে লড়ছে
এর আগে শুভেন্দুর গড় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে বাম-বিজেপি জোট করে তৃণমূলকে হারিয়ে সমবায় সমিতি দখল করেছিল। তারপর পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাম-বিজেপি জোটবদ্দ হতে দেখা গিয়েছে এমনকী সিপিএম ও বিজেপি একসঙ্গে মিছিলও করেছে একাধিক জায়গায়। সমবায় ভোট হলেই প্রায় সর্বত্র বাম-বিজেপি এক জোট হয়ে লড়ছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিছিল করছে।

তৃণমূলকে বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট করার ডাক
ফলে পঞ্চায়েতে জল্পনা বাড়ছে বাম-বিজেপি জোট নিয়ে। বাম-বিজেপি জোট করে তৃণমূলকে আটকাতে চাইছে। সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও নীচুতলার নেতা-কর্মীরা তা আমল দিচ্ছেন না। নীচুতলায় জোট বাঁধছে মানুষ। তৃণমূলকে হারাতে তারা বিজেপির সঙ্গে জোট করতেও পিছপা নয়। আর বিজিপিতে ডাক দিয়েই রেখেছে। সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খানও তৃণমূলকে বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন।