খাদ্য দফতরের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে
তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই অ্যাকাউন্টগুলি দিয়ে দিনের পর দিন কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। আর তা প্রায় ১০ কোটি টাকার কাছাকাছি বলে জানা যাচ্ছে। তবে টাকার মূল্য আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে খাদ্য দফতরের লিঙ্ক রয়েছে বলে ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ফলে খাদ্য দফতরের ভূমিকা এক্ষেত্রে কি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিবিআইয়ের তরফে।

কী উদ্দেশ্য খোলা হয়েছে
অন্যদিকে ১৭৭ টি বেনামি অ্যাকাউন্ট কেন এবং কবে, কী উদ্দেশ্য খোলা হয়েছে তাও সিবিআই খতিয়ে দেখছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের কোনও যোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। এই সমস্ত বিষয়ে উত্তর জানতে সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে নিজাম প্যালেসে তলব করেছে সিবিআই। আজ শুক্রবারই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে খবর।

বিশেষ দল গঠন করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা
অন্যদিকে যাদের নামে এই অ্যাকাউন্টগুলি খলা হয়েছে তাঁরা ভাগই কৃষক। এমনকি তাঁদের নামে যে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে আর তাতে লাখ লাখ টাকা লেনদেন হচ্ছে সে বিষয়ে কোনও তথ্য নেই বলেও জানা যাচ্ছে। আর এই বিশাল কেলেঙ্কারির একেবারে সূত্রে পৌঁছতে বিশেষ দল গঠন করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারীরা মনে করছেন একের পর এক এই অ্যাকাউন্ট খুলতে একজন ব্যক্তিই সমস্ত ফর্ম ফিলাপ করেছেন। আর সে কে? এই বিষয়ে জানতে একজন হ্যান্ড রাইটিং বিশেষজ্ঞকেও সিবিআই তলব করেছে বলে জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মনে করছে এই সমস্ত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই কয়লা এবং গিরু পাচারের কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। একবার নয়, একাধিকবার সেই কাজ করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে
গিরু এবং কয়লা পাচার-কাণ্ডের তদন্তে নেমে একের পর এক বেনামি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়াটা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, তৃণমূল নেতা কালীপ্রসাদ ঘোষএই ব্যাঙ্কের পরিচালন কমিটির সভাপতি। প্রয়োজনে তাকেও জেরা করতে পারে সিবিআই। আপাতত ওই সমবায় ব্যাঙ্কের যাবতীয় লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে বলে খবর।