#কলকাতা: প্রয়াত বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সুমিত্রা সেন। রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীর প্রয়াণে শোকবার্তা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানালেন, ‘বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সুমিত্রা সেনের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। রবীন্দ্রসঙ্গীতের অগ্রগণ্য শিল্পী সুমিত্রা সেন দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নিজস্ব গায়কিতে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন। প্রশিক্ষক হিসাবে তিনি অগণিত গুণমুগ্ধ ছাত্রছাত্রী রেখে গেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১২ সালে ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ প্রদান করে। সুমিত্রা সেনের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রয়াণে সঙ্গীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি সুমিত্রাদির দুই কন্যা ইন্দ্রাণী ও শ্রাবণী এবং সুমিত্রাদির পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
মঙ্গলবার ভোর ৪টে নাগাদ হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয় সুমিত্রা সেনের। গত ২১ ডিসেম্বর থেকে কলকাতার মিন্টো পার্কে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকালই তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্য জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বিশিষ্ট গায়িকা। সম্প্রতি নিউমোনিয়াও ধরা পড়ে। ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল। পরিবারের লোকজন শেষ সময়ে তাঁকে বাড়িতেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রয়াত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেন, ৮৯ বছর বয়সে জীবনাবসান শ্রাবণী-ইন্দ্রাণীর মায়ের
রবীন্দ্রসঙ্গীতের জগতে সুমিত্রা সেন বরাবরই পরিচিত নাম। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। এবছর নব্বই এ পা দিতেন। কিন্তু সেটা সম্ভব হল না। বয়সজনিত ব্যাধিতে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করলেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন শিল্পী। ডিসেম্বরে ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি বেড়ে যায় এবং বঙ্কোনিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন সুমিত্রা সেন।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, দুই কন্যা শ্রাবণী সেন এবং ইন্দ্রানী সেন তাকে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে সপ্তপর্ণী আবাসনের বাড়িতে গতকাল দুপুরবেলা নিয়ে আসেন। শেষ সময়টা মাকে নিজেদের কাছেই রাখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। শিল্পী নিজেও বাড়িতে ফিরতে চাইছিলেন।
আরও পড়ুন: অতি সঙ্কটজনক রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেন! দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি
কন্যা শ্রাবণী সেন বলেন, “বাড়িতে ফেরার জন্য মায়ের মন ব্যাকুল ছিল। তাই চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে সোমবার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তখনও মায়ের সেন্স ছিল এবং সকলকে চিনতে পারছিলেন। অক্সিজেন চলছিল, তবে ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হয়। রাতের দিকে শরীরের অবস্থা খুব খারাপ হয়। ভোর প্রায় চারটে নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।”
বড় মেয়ে ইন্দ্রানী সেন পাশেই থাকেন। তিনি ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ চলে আসেন মায়ের বাড়িতে। এই মুহূর্তে তাঁর দেহ বালিগঞ্জের বাড়িতেই শায়িত রয়েছে। শহরের সঙ্গীতশিল্পীরা অনেকেই সুমিত্রা সেনের প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করেছেন। সঙ্গীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার কথা, “সুমিত্রা সেনের চলে যাওয়া মানে সঙ্গীতজগতের একটা অধ্যায়ের অবসান।”
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Indrani sen, Srabani sen, Sumitra sen