শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে পদত্যাগ সৌমিত্রের
মঙ্গলবার উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার কর্মিসভা ছিল বিজেপির। সেই কর্মিসভায় যোগ দেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই সভা শেষ হতেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সৌমিত্র রায়। তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি। সঙ্গে সঙ্গে জেলা সভাপতির কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি।

মালদহ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা শেষ হতেই মালদহে গেরুয়া শিবিরে ভাঙন ধরা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। আবার যিনি দল ছেড়েছেন তিনি বিজেপির একজন পদাধিকারী। উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র রায়। আবার তিনি পঞ্চায়েত ভোটের কনভেনরও ছিলেন।

বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে খানিকটা ব্যাকফুটে
এই সৌমিত্র রায় ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাহলে এখন কী হল যে, বিজেপিতে তাঁর মোহভঙ্গ হল? তিনি বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি দল ছাড়লেন? এখন এই ঘটনায় বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে খানিকটা ব্যাকফুটে।

বিজেপি আশাবাদী আলোচনার মাধ্যমে সমস্যায় সমাধানের
যদিও বিজেপির জেলা নেতৃত্ব বলছে, কী কারণে সৌমিত্র রায় পদত্যাগ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। তিনি কী বলতে চাইছেন, কোথায় তাঁর অসুবিধা, তা জানার চেষ্টা চালানো হবে। আমরা আশাবাদী যে, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে।

তৃণমূলের দিদির দূত অ্যাপ চালু নিয়ে কটাক্ষ
এদিন শুভেন্দু অধিকারী মালদহে বিজেপির কর্মিসভায় যোগ দিয়ে রাজ্যকে দ্ব্যর্থহীনভাষায় বেঁধেন। তিনি তৃণমূলের দিদির দূত অ্যাপ চালু নিয়ে কটাক্ষের সুরে বলেন, যে ভূত সাদা খাতাতে চাকরি দিয়েছে, সেই ভূত এবার আসবে আপনার বাড়ি বাড়ি।

রাজ্যকে দেউলিয়া করেছে মমতার সরকার, অভিযোগ শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, রাজ্যকে দেউলিয়া করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মালদহের গাজোলের সভা থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি দিদির দূতকে ভূত কটাক্ষে বেঁধেন। শুধু শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি বা অন্যান্য নিয়োগ দুর্নীতি নয়, একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনার কারচুপিতেও তৃণমূলকে একহাত নেন।

বিজেপিতে ভাঙনের কোপ শুভেন্দুর সভা শেষেই
আর শুভেন্দু অধিকারীর এই সভা শেষ হয়ে যাওয়ার পরই বিজেপিতে ভাঙনের কোপ নেমে আসে। সৌমিত্র রায় জেলা সভাপতির কাছে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শুধু সৌমিত্র রায়ই নন, অনেক নেতা লাইন দিয়ে রয়েছেন। অচিরেই তাঁরা বিজেপি ছেড়ে অন্য দলের দিকে পা বাড়াবেন।