বাবরের বদলে অধিনায়ক কে- রিজওয়ান না সরফরাজ? পাকিস্তান কি ক্রিকেটের নিয়ম ভেঙে বসল?

Advertisement

করাচিতে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলছে পাকিস্তান।বাবর আজমরা প্রথমে ব্যাট করে ৪৩৬ রান করেছে। পাল্টা কিউয়িরাও দুর্দান্ত ছন্দে তার জবাব দিচ্ছে। ওপেনার টম লাথাম (১১৩) এবং ডেভন কনওয়ে (৯২) প্রথম উইকেটে ১৮৩ রানের বড় পার্টনারশিপ গড়ে। জুটি গড়েন। তবে এই টেস্টে সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু তৃতীয় দিনের প্রথম দিকে পাকিস্তানের অধিনায়ক নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়।

পাক অধিনায়ক বাবর আজমের জ্বর হওয়ায় তিনি তৃতীয় দিন সকালে ফিল্ডিং করতে নামেননি। তাঁর জায়গায় পরিবর্ত হিসাবে নামেন মহম্মদ রিজওয়ান। প্রসঙ্গত, প্রথম একাদশ থেকে রিজওয়ান বাদ পড়েছেন। তাঁর জায়গায় দলে ঢুকেছেন সরফরাজ আহমেদকে। ২০১৯ সালের পর যিনি প্রথম টেস্ট খেলছেন। তবে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল রিজওয়ানকেই।

আরও পড়ুন: মীরপুরে ভারতকে জেতানোর পুরস্কার, ICC Test Rankings-এ বড় লাফ অশ্বিন, শ্রেয়সের

তদুপরি রিজওয়ানকে নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে ফিল্ডিং প্লেসমেন্ট সেট করতেও দেখা গিয়েছে। তবে সমস্যাটি হল – মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (২৪.১২ আইন) দ্বারা নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে, ‘একজন পরিবর্ত প্লেয়ার বোলিং বা অধিনায়ক হিসেবে কাজ করতে পারবেন না। তবে শুধুমাত্র আম্পায়ারের সম্মতিতে উইকেট-রক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারেন।’

বিভ্রান্তি আরও প্রকট হয়ে ওঠে, যখন পাকিস্তান ডেভন কনওয়ের বিরুদ্ধে রিভিউ বেছে নেয়। নওমান আলি নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ডেভন কনওয়েকে ফাঁদে ফেলেন এবং আম্পায়ার আলিম দারের কাছে তিনি এলবিডব্লিউ-এর জন্য জোরালো আবেদনও করেন। কিন্তু আউট দেননি ফিল্ড আম্পায়ার। তখন নওমানের সঙ্গে কথা বলেন সরফরাজ। রিজওয়ানও তাতে যোগ দেন। প্রসঙ্গত, সরফরাজ, রিজওয়ান দু’জনকেই রিভিউয়ের জন্য ইশারা করতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন: বুমরাহ ফিট, তবু তাঁকে কেন রাখা হল না দলে? পন্তকে পাঠানো হচ্ছে NCA-তে

শেষ পর্যন্ত যেহেতু সরফরাজও রিভিউ বেছে নিয়েছিলেন, তাই ডিআরএস নেওয়া হয়েছিল। এবং রিভিউ অনুযায়ী আউট হন কনওয়ে। খেলা এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিতে দেখা যায় সরফরাজকেই।

এ দিকে বাবর এ দিন ফিল্ডিং করতে না নামলেও, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্ত ছন্দে প্রত্যাবর্তন করেছেন তিনি। এবং তিনি প্রথম ইনিংসে ১৬১ রানে অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেছেন। সেই সঙ্গে নিন্দুকদের সমালোচনার জবাবটা তিনি তাঁর চওড়া ব্যাটেই দিয়েছেন। সরফরাজও গুরুত্বপূর্ণ ৮৬ রান করেছিলেন। এই জুটি পাকিস্তানের ভিত শক্ত করেছিল। পরে আগা সলমন স্কোরবোর্ডে ১০৩ রান যোগ করেন। যার ভিত্তিতে পাকিস্তান ৪৩৬ রানের বড় স্কোর করে।

এ দিকে সরফরাজ ৮৬ রান করে রেকর্ডও গড়েছেন। টেস্টে উইকেটকিপার হিসেবে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ৫০টি টেস্টে সরফরাজ ৩৭.০৬ গড়ে ২,৭৪৩ রান করেছেন। তাঁর পিছনে রয়েছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান কামরান আকমল (৫৩ টেস্টে ২,৬৪৮ রান), মইন খান (৬৬ টেস্টে ২,৫৮১ রান), ইমতিয়াজ আহমেদ (৬৬ টেস্টে ২,০১০ রান) এবং রশিদ লতিফ (৩৭ টেস্টে ১,৩৮১ রান)।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।