পুলিশকে নিশানা শুভেন্দুর
নন্দীগ্রামে ভূপতি নগরে সভা করতে গিয়ে সরাসরি পুলিশকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন তোলামূল সরকারের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে রাজ্যের সব থানাগুলি। শাসক দলের ক্যাডারের মত কাজ করছে পুলিশ। বিজেিপ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এসএসসি আন্দোলনে পুলিশের কামড় ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

ডিসেম্বর হুঁশিয়ারি
এদিন ফের শুভেন্দু অধিকারীর মুখে ফের শোনা গেল ডিসেম্বর হুঁশিয়ারি। গত কয়েক মাস ধরেই বিজেপি নেতাদের মুখে কেবল ডিসেম্বর হুঁশিয়ারি শোনা যাচ্ছে। এর আগে শুভেন্দু অধিকারী নিজে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে হুঁশিয়ারু দিয়ে বলেছিলেন ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এমন পরিস্থিতি হবে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার চালাতে পারবেন না। তবে তিনি সরকার ফেলার চক্রান্ত খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন ডিসেম্বর মাসের পর গণতান্ত্রিক উপায়ে বিজেপি সরকার গড়বে রাজ্যে। তারপর থেকেই ডিসেম্বর মাসে বড় কিছু ঘটতে চলেছে বলে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

সিএএ নিয়ে হুঁশিয়ারি
সিএএ নিয়ে ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দুর অধিকারী। ঠাকুরনগরের সভা থেকে তিনি বলেছেন, সিএএ রাজ্যে চালু হবেই। ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য একুশের ভোটের আগে অমিত শাহ ঠাকুর নগরের সভা থেকে সিএএ চালুর কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন সিএএ নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মোদী সরকার। কিন্তু ঠিক কবে থেকে রাজ্যে সিএএ বা নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা হবে তা নিয়ে কোনও কথা তিনি বলেননি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক শক্ত করতে ফের সিএএ চালুর কথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী।

মমতা-শুভেন্দু সাক্ষাৎ
গতকাল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কক্ষে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে তপ্ত রাজনৈতিক মহল। শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য তারপরেই সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাঁদের ডেকেছিলেন সেকারণেই তিনি গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে দুই বিজেপি বিধায়ককেও তিনি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। পুরোটাই সৌজন্যমূলক। রবিবার ঠাকুর নগরের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন তিনি সৌজন্যর খাতিরেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। মোদী-শাহের কাছ থেকেই এই সৌজন্য তিনি শিখেছেন।