ইরানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৬–২ গোলে জেতার পরেও বাড়তি উচ্ছ্বাসে গা ভাসাতে দেখা যায়নি ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেটকে। বরং ৬ গোল দেওয়ার থেকেও, দু’গোল হজম করার বিরক্তি তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে এসে চেপে রাখেননি। ফুটবলার জীবনের পাশাপাশি বড় মঞ্চে কোচ হিসেবে ব্যর্থতা আর অপ্রাপ্তি তাঁকে রোজ কুরে কুরে খায়। তাই আমেরিকা ম্যাচের আগে ফুটবলারদের মধ্যে আত্মতুষ্টি যাতে ভর না করে, সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন। সাজঘরে ফুটবলারদের সতর্ক করেছেন, এতটুকু হাল্কা ভাব আনা চলবে না আমেরিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে। লড়াইও সহজ হবে না। কারণ ইরানের থেকে ধারে ভারে অনেক এগিয়ে আমেরিকা।
দুই দলের প্রথম একাদশ
ইংল্যান্ডের প্রথম একাদশ: পিকফোর্ড, ট্রিপিয়ার, স্টোনস, ম্যাগুয়ার, শ, বেলিংহ্যাম, রাইস, সাকা, মাউন্ট, স্টার্লিং, কেন।
আমেরিকার প্রথম একাদশ: টার্নার, ডেস্ট, জিমারম্যান, রিম, রবিনসন, ম্যাককেনি, অ্যাডামস, মুসাহ, ওয়েহ, রাইট, পুলিসিচ।
বিশ্বকাপের মঞ্চে আমেরিকার সঙ্গে খেলার স্মৃতি সুখের নয় ইংল্যান্ডের
বিশ্বকাপের মঞ্চে আমেরিকার সঙ্গে খেলার স্মৃতি মোটেও সুখের নয় ইংল্যান্ডের। ২০১৪ সালে তাদের কাছে হেরেই গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। সাউথগেট বলেছেন, ‘একটা অত্যন্ত অনুপ্রাণিত দলের বিরুদ্ধে খেলব আমরা। প্রতিপক্ষের প্রতি আমাদের প্রচুর সমীহ রয়েছে। ওদের যা গুণমান তাতে আমাদের সেরা ফুটবল খেলতে হবে। প্রথম ম্যাচে ছ’ গোল দেওয়া হয়েছে মানেই, তা আবার হবে, এমন ভাবনা ভুল।’ ইরান ম্যাচের থেকে এই ম্যাচ আলাদা হবে বলে জানান তিনি। তাঁর মতে, ‘আমেরিকা অনেক বেশি বল তাড়া করে খেলে। তা ছাড়া একাধিক মার্কিন ফুটবলার এখন ইউরোপের বড় বড় লিগে খেলছে, তাই ইরান ম্যাচের মতো সহজ আদৌ হবে না।’
আমেরিকাকে বাড়তি গুরুত্ব, তবে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য নকআউট নিশ্চিত করা
ইতিমধ্যেই চলতি বিশ্বকাপে আর্জেটিনাকে হারিয়ে সৌদি আরব এবং জার্মানিকে বধ করে জাপান অঘটন ঘটিয়ে ফেলেছে। সেখানে আমেরিকা হেলাফেলা করার মতো দল নয়। ওয়েলসের সঙ্গে ভালো ফুটবল খেলে ১–১ ড্র করেছে। তাই ইংল্যান্ডকে হারানোর ক্ষমতা তারা রাখে। ইংল্যান্ড গোলকিপার পিকফোর্ড বলেই দিয়েছেন, ‘ইউএসএ দলে প্রিমিয়ার লিগে খেলা একাধিক নামী ফুটবলার আছে। বিশেষ করে চেলসি উইঙ্গার পুলিসিচের দু’টো পা সমান চলে। ওর ব্যাপারে সতর্ক না থাকলে বিপদ ঘটবে।’ তবে সাউথগেট–সহ গোটা ইংল্যান্ড দল আমেরিকার বিরুদ্ধে জিতে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় যাওয়া পাকা করতে মরিয়া।