সেক্স টয়,পর্ন তো দূরের কথা, মদ ছুঁলেও দর্শকরা জেলে যাবেন কাতার বিশ্বকাপের সময়

Advertisement

এই মাসে শুরু হতে চলা আসন্ন ফিফা বিশ্বকাপের সময়ে বিভিন্ন দেশের প্রায় ১ মিলিয়ন ফুটবল প্রেমীরা কাতারে আসবেন। বিশ্বকাপের মহা লড়াই উপভোগ করতে। তবে বিশ্বকাপ দেখতে কাতারে আসা ফুটবলপ্রেমীদের জন্য নিয়ম কিন্তু বেশ কড়া। বহু জিনিসের উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি বরাবরই বেশ রক্ষণশীল। ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর আগে তারা কিছু নতুন নিয়ম জারি করেছে। জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপ দেখতে যাঁরা কাতার যাচ্ছেন, তাঁদের বেশ কিছু কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুল্কমুক্ত অ্যালকোহল, সেক্স টয়, শুয়োরের মাংস, পর্নোগ্রাফি-তে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কাতার। এই বিষয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এই নিয়ম যাঁরা মানবেন না, তাঁদের জেলে পর্যন্ত যেতে হতে পারে।

কাতারের বিদেশি দফতরের তরফে ভক্তদের কাছে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, যাতে তাঁরা স্থানীয় ঐতিহ্য ও রীতিনীতিকে সম্মান করেন। জনসমক্ষে ঘনিষ্ঠ হওয়া, মাতলামি করা এবং অশালীন পোশাক পরিধান থেকে যাতে বিরত থাকেন ভক্তরা, সেই নির্দেশিকাও জারি হয়েছে।

আরও পড়ুন: ব্রাজিল স্কোয়াডে নেই ফার্মিনো, আছে একাধিক চমক

বাইরের দেশ থেকে কাতারে আসা ফুটবল অনুরাগীদের যে জিনিসগুলি সঙ্গে রাখতে বারণ করা হয়েছে, সেগুলি হল পর্নোগ্রাফি, সেক্স টয়, শুয়োরের মাংস এবং ধর্মীয় বই। অ্যালকোহল আমদানি অবৈধ হওয়ায়, ভক্তদের শুল্কমুক্ত মদ কেনা এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যে কেউ এই সমস্ত কাজ করলে, কড়া শাস্তি পেতে হবে। এমন কী কারাবাসও হতে পারে। লাগেজ স্ক্যান করার সময়ে যে কোনও ওষুধ পাওয়া গেলে, সেটার জন্য অবশ্যই প্রেসক্রিপশন লাগবে।

প্রসঙ্গত, এই মুসলিম দেশে উচ্চমানের হোটেল এবং সমুদ্রের ধারে একটি ওপেন-এয়ার জোন ছাড়া মদ্যপান নিষিদ্ধ।

যে বিষয়গুলিতে নিয়ম জারি হয়েছে, দেখে নিন এক নজরে-

মদ্যপান

মদ্যপান করাটা রক্ষণশীল কাতারে পাপ কাজ বলে মনে করা হয়। তবে মদ কিনতে বিশেষ কর দিতে হবে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন সেই কর বসানো হবে। শুধুমাত্র হোটেলে মদ পরিবেশন করা হবে এবং লাইসেন্স প্রাপ্ত বারগুলোতেই পরিবেশন করা হবে মদ। যত্রতত্র মদ্যপান করা এবার নিষেধ। দোহার বাসিন্দা অমুসলিমরা লাইসেন্স নিয়ে বাড়িতে মদ্যপান করতে পারবেন। স্টেডিয়াম চত্ত্বরে নির্দিষ্ট করার জায়গার মধ্যে সমর্থকরা বিয়ার খেতে পারবেন। কাতারে মদ্যপান নিয়ে নিয়ম কড়া, তবে এবার বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে অনেকটা শিথীল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: চোটগ্রস্ত লুকাকুকে স্কোয়াডে রেখে কাতার বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল রবার্টোর বেলজিয়াম

ড্রাগ

ড্রাগের বিষয়ে কাতার আরও বেশি কড়া। গাঁজা বা বাকি ধরনের নেশার সামগ্রী ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধে। এই সমস্ত জিনিস বিক্রি বা ব্যবহার সব কিছুই বেআইনি। ব্যবহার করলে জরিমানা বা জেল হতে পারে। মৃত্যুদন্ড পর্যন্তও হতে পারে। বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় সমর্থকদের এই বিষয়গুলোর দিকে নজর দিতে হবে। কারও ব্য়াগেও পাওয়া গেলেই তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

যৌনতা

স্বামী-স্ত্রী বাদ দিয়ে বিশ্বকাপ দেখতে এসে যদি অবৈধ যৌন মিলন অবস্থায় কাউকে পাওয়া যায়, তা হলে তাঁর জন্য অপেক্ষা করবে কঠিন শাস্তি। শুধু অবৈধ যৌন মিলনই নয়, কাতারে সমকামী সম্পর্কও কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। একবার যদি কেউ দোষী হিসেবে প্রমাণিত হয়, তা হলে সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। রাস্তায় হাত ধরে হাঁটলে সমস্যা নেই কাতার সরকারের। তবে প্রকাশ্যে ঘনিষ্ঠ হলে, তাতে সমস্যা বাড়বে।

শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে

কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে আসা ফুটবল অনুরাগীদের গ্রেফতার এড়াতে সহায়তা করতে টুর্নামেন্ট চলাকালীন পুলিশের শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা থাকবে। নৈতিকতা আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে এবং ভক্তদের ঠাণ্ডা রাখতে বিশেষজ্ঞ যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা সেখানে থাকবেন।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।