Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে অতিষ্ঠ জেল কর্তৃপক্ষ, কী ঘটনা ঘটল আসানসোল সংশোধনাগারে?‌

Advertisement

অনুব্রত মণ্ডল জেলেও হিরো। যাই অভিযোগ তোলা হোক না তাঁর বিরুদ্ধে। এবার সেটা হাড়ে–হাড়ে টের পেলেন জেল কর্তৃপক্ষ। কারণ জেলার কেষ্ট জেলে আসার পর থেকেই সকাল–বিকেল সর্বক্ষণ বেজে উঠছে আসানসোল সংশোধনাগারের ল্যান্ডফোন। এতদিন সেটার কদর ছিল না। কারণ ব্যক্তিগত থেকে অফিস সব কাজই চলে মোবাইলে। অফিসিয়াল কিছু কাজের জন্য ল্যান্ডলাইনে ফোন ব্যবহার হতো। এখন দিনভর বেজে চলেছে ল্যান্ডফোন। ফোন ধরতে ধরতে নাজেহাল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।

কেমন ফোন আসছে আসানসোল সংশোধনাগারে?‌ আসানসোল সংশোধনাগার সূত্রে খবর, ফোন তুললেই অপরপ্রান্ত থেকে বলা হচ্ছে, কেষ্টকে দিয়ে কিছু কাজ করান। আবার কেষ্ট জেলে কী করছেন?‌ আর এই কেষ্ট সম্পর্কে জানার আগ্রহী মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এমনকী দাদা খাবার খেয়েছেন কি না জানতেও অনুগামীদের ফোন আসছে। এই পরিস্থিতিতে অফিসের প্রয়োজনীয় ফোনও আসছে। ফলে সর্বক্ষণ কাউকে না কাউকে ফোনের কাছে বসেই থাকতে হচ্ছে। এবার বাধ্য হয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। কারা এই ধরনের ফোন করছে?‌ সেটা খুঁজে বের করার জন্য প্রশাসনিক সাহায্য নেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সূত্রের খবর, কয়েকমাস আগেও আসানসোল সংশোধনাগারের ল্যান্ডফোনটিতে ধূলো জমত। সারাদিনে এক থেকে দু’বার ফোন বাজত। এক কোণে পড়েছিল ল্যান্ডফোনটি। এখন সকাল থেকেই বেজে চলেছে ফোন। সৌজন্যে অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর খাবারের কী মেনু, কোথায় আছেন, কী করছেন, এমন হাজারো প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে। আবার রসিকতা করে ফোনে বলা হচ্ছে, অনুব্রতর পাশের সেলটা ফাঁকা করুন। আরও একজন আসছে। কেষ্টকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই সেটা সংশোধনাগারের ল্যান্ডফোনই উজ্জ্বল উদাহরণ। তাই পদক্ষেপের কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ।

কেষ্ট কী জানেন এই ঘটনা?‌ সংশোধনাগার সূত্রে খবর, কারারক্ষী মারফত এই খবর তাঁর কানেও পৌঁছেছে। তিনি এখন এই সংশোধনাগারে বন্দি। তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টা রয়েছে। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর দীর্ঘদিন আসানসোল সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। তিনি এই ঘটনার কথা শুনে এক কারারক্ষীকে নাকি দু’‌কলি গান শুনিয়েছেন। সেটা হল—‘আশায় আশায় বসে আছি, ওরে আমার মন… কখন তোমার আসবে টেলিফোন’, বাংলা ব্যান্ডের জনপ্রিয় এই গান এখন কেষ্টর কন্ঠে।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।